December 22, 2024, 6:06 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় টানা ৩৩ বছর ধরে কাউন্সির নির্বাচিত হয়ে আসা জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন এবার পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী। মেয়র হবার আগে তিনি ছিলেন পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। কাউন্সিলর পদে একই ওর্য়াডে তার যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৮৯ সাল থেকে। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ২৪ বছর।
চুয়াডাঙ্গা শহরের শহরের মানুষের কাছে তিনি খুবই সাধারণ একজন সজ্জন ও জনপ্রিয় মানুষ। সবাই তাকে এক নামেই চেনেন। সবসময় হাসিখুশী। সবারই কাছের মানুষ তিনি। সবার ডাকেই তিনি সমান সাড়া দেন। সবার কাছের মানুষ হবার এটা একটি প্রধান কারন।
নির্বাচনে তিনি তার প্রতিদ্ব›িদ্ব বিএনপি মনোনিত প্রার্থীকে প্রায় তিনগুণ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বিজয় অর্জন করেন। খোকন পেয়েছেন ২২৩৩৯ ভোট। বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মজিবুল হক মালিক পেয়েছেন ৭৬৫৭ ভোট।
জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকনের সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের সাথে ফোনে। তিনি জানান তার মনোনয়ন নিয়েই চমক ছিল, নাটকীয়তা ছিল। তিনি বরাবরের মতো এবারও কাউন্সিলর হবার মানসিকতা নিয়েই কাজ করে যা”িছলেন। তিনি মেয়র প্রার্থী হবেন এমনটি কাউকে বলেননি। দাবিও তুলেননি।
রাজনৈতিক পরিচয়ে তিনি চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
তিনি জানান জেলা আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন সভায় তার কাউন্সিলর প্রার্থী চুড়ান্ত করে মেয়র পদের জন্য তিনজনের যে নাম মনোনিত করা হয় সেখানে তার নামটি দিয়ে দেয়া হয় তিন নম্বরে। যেখানে ইতোপূর্বের দুইবারের মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দারের নাম ছিল এক নম্বরে। রিয়াজুল হলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক সোলায়মান জোয়ার্দার সেলুনের ছোট ভাই। দুই নম্বর প্রার্থী ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি ব্যবসায়ী শরীফ উদ্দিন দুদু।
“আমার মনোনয়ন কেন্দ্র থেকেই ঘোষণা করা হয়,” খোকন জানান।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক সোলায়মান জোয়ার্দার সেলুন জানান খোকনের মনোনয়ন কেন্দ্র থেকে নির্ধারণ করা হয়। তিনি জানান যদিও এটি অপ্রত্যাশিত ছিল কিন্তু সত্যি কথা হলো কেন্দ্র একজন ত্যাগী নেতাকে মুল্যায়ন করেছে।
খোকনের মনোনয়ন নিয়ে জেলায় দলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে কেন্দ্র থেকে তার পক্ষে কাজ করারও নির্দেশনা দেয়া হয়।
জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন জানান সবাই তার জন্যে কাজ করেছে। তিনি প্রতিদ্বদ্বি¦ প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেছেন। তিনি দলীয় নেতা-কর্মী ও সর্বস্তরের ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
খোকন জানান স্থানীয় সরকারের এই ইউনিটে তার দীর্ঘ কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি সব বিষয়হুলো নিয়ে অবগত। কাউন্সিলর হিসেবে কাজ করার নানা সীমাবদ্ধতা আছে। এখন তিনি অনেক বেশী কাজ দেখাতে সক্ষম হবেন বলে জানান।
Leave a Reply